বিশ্বে শান্তি রক্ষায় চাই শক্তির ভারসাম্য ও নতুন শক্তির উত্থান

বিশ্বে শান্তি ও সংহতি আনতে বিশ্বের তথাকথিত  পরাশক্তি রাষ্ট্র সমূহ মোটেই আন্তরিক নয়। বরং এ রাষ্ট্র গুলো বিশ্বভূবনে সব ধরনের দৌরাত্ম্য ও অশান্তির মূল কারিগর। আপনি আজ বিশ্বের যেদিকে তাকাবেন সেদিকে এ পরাশক্তিধর রাষ্ট্র সমূহ পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে বিশ্ব অশান্তিতে ভূমিকা রাখছে। আপনি যদি গাযার  যুদ্ধের দিকে তাকান তাহলে ১৫ মাস ধরে ইসরায়েল  সেখানে যে গণহত্যা চালিয়েছে তার পেছনে সু স্পষ্ট ভাবে আমেরিকার অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য ছিল । আর যদি ইউক্রেইন এর যুদ্ধের দিকে তাকান দেখতে পাবেন সেখানে রাশিয়া  আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে।এছাড়াও আফ্রিকায় সুদীর্ঘ কাল ধরে ফ্রান্স তার উপনিবেশবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রেখেছে।চীন পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে রেখেছে প্রায় শত বছর হতে চলেছে। তাছাড়াও জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি রক্ষার শপথ নেওয়া অন্যান্য সকল স্থায়ী সদস্য রাস্ট্রসমূহ তাদের প্রতিপত্তি ধরে রাখার প্র‍য়াসে নিজেদের মধ্যে শীতল স্নায়ুযুদ্ধ শুরু করেছে সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই। যেই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেছে মানুষের অধিকার রক্ষায় সেই জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ফিলিস্তিনিরা নিজেদের অধিকার থেকে আজ বঞ্চিত। ইরাক ও আফগানিস্তানের ভূমিতে আমেরিকা ও তার মিত্ররা যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তা হালাকু খানের বর্বরতাকেও হয়তো হার মানাবে।যেসকল রাস্ট্র বা সংস্থা আজকে মানবাধিকার ও নারী অধিকারের ধোঁয়া তুলে আফগানিস্তান ও ইরানের মতো রাস্ট্রের দিকে চোখ রাঙায় তারাই এতোদিন আফগান ও ইরাকে বোমা হামলা করে নারী ও শিশু হত্যা করেছে। ঈসরায়েলের বোমার আঘাতে কতো নারী শিশু যে নিহত ও আহত হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান হয়তো অনেকেরই জানা নেই।আমেরিকা ও ঈসরায়েলের কারাগারে কতো নারী যে ধর্ষিত হয়েছে তা অনুমান করা কঠিন।ড.আফিয়া সিদ্দিকীর উদাহরণ টানলেই বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়।তাছাড়াও পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে বর্ণবাদ এখন তুংগে।তারা নিজ দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায় আজ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। অথচ অন্য রাস্ট্রগুলোতে মানবাধিকার ও নারী অধিকারের ধোঁয়া তুলে তারা অর্থনৈতিক অবরোধ এবং কখনো কখনো সামরিক আগ্রাসন চালায়। অথচ খুলাফায়ে রাশিদাহ এবং পরবর্তী অন্যান্য মুসলিম সাম্রাজ্যগুলোর ইতিহাসে অন্যায় ও অত্যাচার এর ঐতিহাসিক সত্যতা প্রায় শূন্যের কোঠায় বিশেষ করে খুলাফায়ে রাশিদাহ এর যুগে। তাই বিশ্বে শান্তি ও সংহতি আনয়নের জন্য শক্তির ভারসাম্যতা রক্ষায় খুলাফায়ে রাশিদাহ এর আদলে ন্যায় ও ইনসাফের উপর প্রতিষ্ঠিত এমন নতুন শক্তির উত্থানের অন্য কোন বিকল্প নেই।

 

Share With freinds & Others

Leave a Comment