নরসিংদীর পলাশে হিন্দু যুবক কর্তৃক রাসূল সা. এর অবমাননা

সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে রাসূল সা. ও উম্মুল মুমিনিনদের রা. ব্যঙ্গচিত্র মন্তব্য করায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলাধীন ঘোড়াশাল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বালিয়া গ্রামের বকুলতলা এলাকায়। হিন্দু ধর্মের অনুসারী এই যুবকের নাম অনন্ত ধর এবং পিতার নাম গোপাল ধর। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় জনরোষের সৃষ্টি হয় যার এক পর্যায়ে উক্ত যুবককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। সিংহভাগ মুসলমানদের দেশে এখন প্রাণপ্রিয় রাসূলের অবমাননা যেন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে যথোপযুক্ত বিচার না হওয়াকেই দায়ী করছেন অনেকে। ইসলামে আল্লাহর রাসূলের অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদন্ড থাকলেও বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশে এই অপরাধের কার্যকরী কোন শাস্তি নেই বললেই চলে।উল্টো অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নামে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে যেন মালাউন শাতিমদের সাহস আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। অথচ বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি যে দলই ক্ষমতায় গিয়েছিল তারা নিজেদের পিতা,স্বামী বা অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো কটুবাক্য উচ্চারণকারীদের জন্য ত্রাস হয়ে এসেছিল কিন্তু রাসূল সা. অবমাননাকারীদেরকে কার্যকরী কোন বিচারের আওতায় আনা হয়নি। বরং এরকম দেখা গিয়েছে শাতিমে রাসূলকে হত্যার দায়ে উম্মাহর সিংহদেরকে কারাবন্দী অবস্থায় থাকতে। এখনো কতক ভাই জেলখানায় বন্দী আছেন শাতিমে রাসূলকে হত্যার দায়ে। তাই এই ঘটনার ক্ষেত্রেও কার্যকরী বিচার পাওয়া যাবে কিনা এই বিষয়ে অনেকেই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত।কেননা এভাবে গ্রেপ্তারের নামে শাতিমে রাসূলকে নিরাপত্তা প্রদান করে পরবর্তীতে রাসূল ও ইসলাম অবমাননার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন। তাই সকলের দাবি একটাই শাতিমে রাসূলকে যেন সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদানের মাধ্যমে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা হয় যা শীতল করবে প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়কে। নতুবা এই ভূমির মুসলমানদের জন্য একটি ইসলামী রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠা ব্যতীত তাদের ন্যায্য দাবী কখনোই আদায় করা সম্ভব হবে না।

Share With freinds & Others

Leave a Comment