ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যমতে গোয়ায় এক দম্পতিকে তাদের পাড়ার ৫ বছর বয়সী এক মুসলিম মেয়েকে হত্যা করে তাদের বাড়ির উঠোনে মৃতদেহ পুঁতে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাবাসাহেব আলার (৫২) এবং তার স্ত্রী পূজা (৪৫) পুলিশকে জানিয়েছেন যে, একজন জাদুবিদ্যার সাধক তাদেরকে নিঃসনতান থাকার দুঃখকে শেষ করার জন্য একটি শিশুকে “বলি” দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (পোন্ডা) শিবরাম ভাইগানকর সাংবাদিকদের জানান যে শিশুটির বাবা-মা বুধবার অভিযোগ করেছেন যে সে নিখোঁজ হয়েছে।
ভাইগানকর বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে শিশুটি অভিযুক্তের বাড়িতে প্রবেশ করেছিল কিন্তু বেরিয়ে আসেনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, নিঃসন্তান দম্পতি কালো জাদু অনুশীলনকারী একজন ব্যক্তির পরামর্শে মেয়েটিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, দম্পতি বিশ্বাস করতেন যে “একটি সন্তানকে বলিদান” তাদের সমস্যার অবসান ঘটাবে। তারা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন যে তারা তাদের আঙ্গিনায় মৃতদেহটি কবর দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিন্তু কথা হলো আদৌও কি এই নৃশংস ভাবে শিশু হত্যার বিচার হবে? ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কতো মুসলিম নির্যাতিত ও গুম-খুনের শিকার হচ্ছে,কখনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় টেরোরিস্ট দমনের নামে আবার কখনো হিন্দু উগ্রবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের ব্যানারে। ভারতে এখন মুসলিম হওয়াটাই পাপ। কাশ্মীরে মন্দিরে আটকে রেখে শিশু আসিফাকে পুরুহিত ও তার ভাগিনা কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যার মামলাও করা হয়েছে কত বছর আগে কিন্তু এখনো পর্যন্ত ফলাফল শূন্য। এরকম আরও কত শত ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই উপমহাদেশের মুসলমানদের জান,মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াকেই মুক্তির একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন অনেকে।
তথ্যসূত্র:NDTV