ভারতের মিজোরাম রাজ্যে—বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছেই—একটি আধুনিক মিলিটারি বেস গড়ে তোলা হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ‘ইস্টার্ন কমান্ড’-এর সক্ষমতা বাড়ানো।নামমাত্র মিয়ানমারের অজুহাত দেখিয়ে যে সামরিক ঘাঁটি বানানো হয়েছে, তার যুদ্ধ সক্ষমতা মূলত নিশানা করছে বাংলাদেশকে!
মিজোরামে ভারত ‘Su-30MKI’ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।এই যুদ্ধবিমানগুলো এখন নতুন ‘গৌরব’ গ্লাইড বোমা দিয়ে সজ্জিত, যা ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম । একই সঙ্গে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক রাডার, নজরদারি ড্রোন, এবং মাল্টিপল রকেট লঞ্চার। এখন প্রশ্ন হলো—এত বিপুল সামরিক শক্তি কেন গড়ে তোলা হচ্ছে এমন এক সীমান্তে, যেখানে “বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক” বলে চিৎকার করে বাংলাদেশ?
কৌতূহল আরও বাড়বে যদি জানেন—এই বেস থেকে মাত্র ৩০ মিনিটে ভারতের ফাইটার জেট বাংলাদেশে ঢুকে ঢাকায় পৌঁছে যেতে পারে, আর কোনো বাধা নেই।
এদিকে আমরা এখনো সোনার গয়না রপ্তানি নিয়ে ভাবি, তারা ভাবে মিসাইল টার্গেটিং নিয়ে।
ভারতীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা বাংলাদেশের ভেতরে ভৌগোলিক ও ধর্মীয় বিভাজন পর্যবেক্ষণ করে ‘ভবিষ্যৎ কনফ্লিক্ট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করছে। অথচ বাংলাদেশে এটা নিয়ে কোনো সংবাদ নেই, আলোচনা নেই—যেমনটা ২০০১ সালের আগেও ছিল না, যখন তারা সীমান্তে ‘অপারেশন বাজর’ চালিয়ে ১৬ জন বিডিআর সদস্য হত্যা করেছিল।
আমরা যখন নববর্ষ উদযাপনে ব্যস্ত, ভারত তখন ঘরে বসে আমাদের চুপচাপ ঘিরে ফেলছে। এটা যুদ্ধ ঘোষণা নয়, এটা কৌশলী ঘেরাও—যেখানে আমরা চোখ বন্ধ করে হাসি, আর তারা চোখ খুলে টার্গেট ঠিক করে।
তথ্যসূত্র : দৈনিক আমার দেশ